আইন নংঃ ২৮ নং আইন, ২০১৮

সম্মতি লাভঃ ২৯ জুলাই, রবিবার, ২০১৮

মোট অধ্যায়ঃ ৯টি

মোট ধারাঃ ৩১টি

বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ। এদেশের উত্তর ও পূর্বে বিশাল হিমালয় পর্বতমালা। তারও উত্তরে সুবিশাল মহাদেশীয় ভূখন্ড।শীত ও গ্রীষ্মে আন্তঃ ব্রান্তীয় অভিসরন অঞ্চলের স্থান পরিবর্তন, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে জেট বায়ু প্রবাহ ইত্যাদির প্রভাবে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের জলবায়ু অপেক্ষা ভিন্ন ধরনের। বৈশিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে তার যে ক্ষতিকর প্রভাব সমগ্র বিশ্বব্যাপি পড়েছে তাতে বাংলাদেশ সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উত্তরাঞ্চলের মরুভূমির ক্সবশিষ্ট্য প্রকাশ, নিম্নভূমিতে প্লাবন, নদ-নদীর প্রবাহ হ্রাস এবং পানিতে লবনাক্ততা বৃদ্ধি, আকস্মিক বন্যা, নদী ভাঙ্গন, খরা ও সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছাস প্রভৃতি বৃদ্ধি পেয়েছেআবহাওয়া ও জলবায়ুগত পরিবর্তনের জন্য। এতে শুধুমাত্র প্রাকৃতিকসম্পদই নয় বরং জনজীবনেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

তাই সঠিক সময়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাস এর মাধ্যমে আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্যোগ মোকাবেলা ও হ্রাস সম্ভব। পাশাপাশি জনজীবন ও সম্পদ রক্ষাও সম্ভব হবে প্রয়োজনীয় সময়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাসের মধ্য দিয়ে।সেই প্রয়োজনের দিককে প্রাধান্য দিয়ে জলবায়ু সম্পদের যৌক্তিক ব্যবহারের জন্য আবহাওয়া সার্ভিস সংক্রান্ত কার্যক্রম শক্তিশালী, সমন্বিত, লক্ষ্যভিত্তিক ও যুযোপযোগী করার জন্য ‘আবহাওয়া আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করে।

আবহাওয়া আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন দিক সমূহ আলোচনাঃ এই আইন নয়টি (৯) অধ্যায় এবং ৩১টি ধারা রয়েছে।

ধারা-১ঃ সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন।

এই আইনটি আবহাওয়া আইন-২০১৮ নামে পরিচিত এবং সমগ্র বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে।

ধারা-৪ঃ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর নামের অধিদপ্তরটি এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করবে। এই অধিদপ্তরটি বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত হিসেবে গণ্য হবে।

ধারা-৫ঃ অধিদপ্তরের কার্যালয় ইত্যাদি।

অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়। তবে সরকার প্রয়োজন অনুসারে ঢাকার বাহিরে যে কোন স্থানে আঞ্চলিক ও শাখা কার্যালয় স্থাপন করতে পারবে।

ধারা-৬ঃ অধিদপ্তরের কার্যাবলিঃ

ক) আবহাওয়া সংক্রান্ত কার্যাবলি।

(অ) আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে মৌলিক এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রায়োগিকগবেষণা কাজ পরিচালনাসহ আবহাওয়া সেবার মান উন্নয়ন এবং সরবরাহ নিশ্চিতকরণ;

(আ) ক্সবজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বায়ুমণ্ডলীয়, ভূমণ্ডলীয় ও জলীয় আবহাওয়া ঘটনাবলিরএবং ভূমিকম্প ও ভূ-চুম্বকীয় সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ গ্রহণ;

(ই) আবহাওয়া সেবা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত আবহাওয়া রাডার, ভূমিকম্প পরিমাপকও ভূ-চুম্বকীয় পর্যবেক্ষণাগার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ;

(ঈ) ঝড় সতর্কীকরণ ও নিরাপদ বিমান চলাচলে আবহাওয়া পূর্বাভাসকেন্দ্রের ক্সদনন্দিন তাৎক্ষণিক তথ্য ও উপাত্ত কাজে ব্যবহারের জন্য ভূ-উপগ্রহের মাধ্যমে চিত্র সংগ্রহ;

(উ) উপাত্তভিত্তিক সকল আবহাওয়া মানচিত্র প্রস্তুত ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণসহ বিশদ ব্যাখ্যা প্রদান;

(ঊ) আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত উপাত্তসমূহের আহরণ (extraction), গণনা, মান

নিয়ন্ত্রণ, বিশ্লেষণ, সংরক্ষণ (storage), আর্কাইভ (archive) ও পুনরুদ্ধারসহ(retrieve) প্রকাশনার ব্যবস্থা গ্রহণ;

(ঋ) আবহাওয়া সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণাগার স্থাপন এবং তত্ত্বাবধান, কারিগরি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ (installation) ও সংস্থাপন;
(এ) আবহাওয়া যন্ত্রপাতি এবং কম্পিউটার প্রোগ্রাম তত্ত্বাবধান ও উন্নয়ন;

(ঐ) আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে আবহাওয়া বিষয়ক পর্যবেক্ষণলব্ধ তথ্য রেকর্ড,

হালনাগাদকরণ এবং তত্ত্বাবধান;

(ও) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য হিসাবে চাঁদা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;

খ) পারস্পরিক সহযোগিতা

(অ) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর এবং সংস্থা, আগ্রহী স্টেকহোল্ডার, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও এজেন্সিসমূহকে চাহিদা মোতাবেক,বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বিশেষজ্ঞ মতামত ও তথ্য-উপাত্ত প্রদান;

(আ) জাতীয় প্রয়োজন এবং আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতার নিরীখে সংশ্লিষ্ট সকল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহিত আবহাওয়া সেবা সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত বিনিময়;

(ই) জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় তথ্য প্রস্তুত ও সরবরাহ;

(ঈ) আবহাওয়া সেবা সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ, পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি যথাশীঘ্রসম্ভব সরবরাহ;

গ) আবহাওয়া পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা

(অ) বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনা, ভূ-মণ্ডলীয় ঘটনা এবং জলীয় আবহাওয়া ঘটনা সম্পর্কে, ক্ষেত্রমত, পূর্বাভাস, বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রচার, সংঘটনবার্তা, আগাম সতর্কবার্তা বা

সংকেত প্রস্তুত ও প্রদান;

(আ) জনসাধারণ, কৃষি বা পর্যটনের জন্য ব্যবহারের প্রয়োজনে অথবা নৌযান,জাহাজ ও বিমান নিরাপদে চলাচলের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদান;

ঘ) আর্ন্তজাতিক যোগাযোগ, সমন্বয় ও প্রতিনিধিত্ব ইত্যাদি-

(অ) আবহাওয়া বিজ্ঞানের উন্নয়নের জন্য বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সহিত যোগাযোগ রক্ষা;

(আ) বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (World Meteorological Organzation) (WMO) (ডব্লিউএমও) কর্তৃক নর্ধারিত মান অনুযায়ী, বাংলাদেশেরআবহাওয়া সেবাকে কার্যকরী করিবার উদ্দেশ্যে, উপযুক্ত ওপ্রয়োজনীয় পরিকল্পনা প্রণয়নসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, স্থাপন এবং আবহাওয়া সেবা প্রদানের উপযোগীকরণ ও সংশ্লিষ্ট নীতিমালা বাস্তবায়ন;

(ই) ডব্লিউএমও এর রিজিওন্যাল এসোসিয়েশন ও টেকনিক্যাল কমিশনের সহিত সমন্বয় সাধন;

(ঈ) আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদান, আবহাওয়া সেবা ও এতদ্সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা।

ধারা-৮ঃ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা

আবহাওয়া সেবা বিষয়ক গবেষণা ও পূর্বাভাস; সতর্কীকরণ পদ্ধতির সক্সমতা বৃদ্ধিসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজন অনুসারে অধিদপ্তরের অধীন ‘জাতীয় আবহাওয়া’ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

ধারা-৯ঃ মহাপরিচালকঃ

অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহী হবে একজন মহাপরিচালক।

ধারা-১০ঃ মহাপরিচালকের সাময়িক দায়িত্বঃ

কোনো কারণে মহাপরিচালকের পদ বা অনুপস্থিত হলে, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে মহাপরিচালক তাঁর দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে কিংবা শূণ্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালকের সাময়িক দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত অধিদপ্তরের পদবি ও কর্মে জ্যেষ্ঠতম ব্যক্তি মহাপরিচালকের সাময়িক দায়িত্ব পালন করবেন।

ধারা-১১ঃ মহাপরিচালকের দায়িত্ব ইত্যাদি।

মহাপরিচালকের দায়িত্বগুলো হলো-

(ক) ধারা ৬ এ বর্ণিত কার্যাবলি সম্পাদন ;

(খ) অধিদপ্তরের সকল প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যাদি পরিচালনা ; এবং

(গ) অধিদপ্তরের কর্মচারীগণের কার্যাবলি তদারকি এবং তাহাদেরকে দিক-নির্দেশনা প্রদান।

ধারা-১৩ঃ পর্যবেক্ষনগার স্থাপন, নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন।

অধিদপ্তর প্রয়োজন অনুসারে সরকারের অনুমোদনক্রমে যে কোন স্থানে পর্যবেক্ষনাগার বা ক্ষেত্রমত, স্থাপনা সথাপন করতে পারবে। স্থাপনা সমুহের মানদন্ড অধিদপ্তর নির্ধারণ করবে।

ধারা-১৪ঃ পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণঃ

আবহাওয়া সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের উদ্দেশ্য স্থাপিত পর্যবেক্ষণ ষ্টেশন, পর্যবেক্ষনাগার বা ক্ষেত্রমত স্থাপনা এর মধ্যে পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতে পারবে।

ধারা-১৫ঃ পর্যবেক্ষনাগার ও স্থাপনাসমূহের রক্ষণাবেক্ষণঃ

অধিদপ্তর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপিত পর্যবেক্ষনাগার বা ক্ষেত্রমত স্থাপনাসমূহ রক্ষণাবেক্ষন করবে।

ধারা-১৭ঃ পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সরকার কর্তৃক গৃহীত আবহাওয়া সেবা এবং স্বল্প মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় অর্ন্তভূক্তির জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ন করবে।

(ক) ডব্লিউএমও ঘোষিত কৌশল ও উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ;

(খ) সরকারের কৌশল ও উন্নয়ন পরিকল্পনা;

(গ) আঞ্চলিক পরিসরে আবহাওয়া সেবা বিষয়ক কৌশল ও উন্নয়ন পরিকল্পনা;

(ঘ) আন্তঃসরকার ওশেনোগ্রাফিক কমিশন (Intergovermental Oceanographic Commission) (IOC) এবং আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (International Civil Aviation Organization) (ICAO) ঘোষিত কৌশল ও উন্নয়ন পরিকল্পনা;

(ঙ) আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থা (International Maritime Organization) (IMO) ঘোষিত কৌশল ও উন্নয়ন পরিকল্পনা।

ধারা-১৮ঃ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র স্থাপন

অধিদপ্তর প্রয়োজন অনুসারে যে কোন স্থানে আবহাওয়ার পূর্বাভাস কেন্দ্র স্থাপন করতে পারবে। এ সকল কেন্দ্রের মানদন্ড অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত হবে।

ধারা-১৯ঃ আবহাওয়া পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করা।

জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় আবহাওয়া সেবা সংক্রান্ত পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করবে এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা এবং গণমাধ্যমের নিকট প্রেরণ করবে।

ধারা-২০ঃ নৌযান, জাহাজ ও বিমানের জন্য আবহাওয়া পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ

অধিদপ্তর নৌযান, জাহাজ ও বিমানের নিরাপদ চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বিজ্ঞপিত্ত প্রকাশ করবে।

ধারা-২১ঃ সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি বা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিধান।

অধিদপ্তর সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি বা প্রত্যাহার করার ক্ষেত্রে তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে অবহিত করবে।

ধারা-২২ঃ আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রচার

গণমাধ্যম এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রচারকালে অবশ্যই অধিদপ্তর কর্তৃক জারিকৃত সর্বশেষ আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সতর্কবার্তা ও বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রচার নিশ্চিত করবে।

ধারা- ২৩ঃ জলবায়ু পর্যবেক্ষন ও সেবা

(১) অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি ব্যতীত, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জলবায়ু সংক্রান্ত কোনো প্রকার সতর্কবার্তা প্রদান করিতে পারিবে না; এবং উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জলবায়ু সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করিলে তাহা অধিদপ্তরকে অবহিত করিবে।

(২) অধিদপ্তর জলবায়ু পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন সম্পর্কিত সকল প্রচেষ্টার সমন্বয় সাধন, ডব্লিউএমও স্বীকৃত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও আন্তর্জাতিক বিনিময় নিশ্চিত করিবে।

(৩) অধিদপ্তর, মাস, বৎসর ও শতাব্দী মেয়াদি জলবায়ু প্রক্ষেপণ (Projection) প্রস্তুত

করিবে, এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা সরবরাহ করিবে।

(৪) অধিদপ্তর দেশব্যাপী জলবায়ুগত জরিপ ও জোনিং এর সার্বিক দায়িত্ব পালন করিবে, এবং সুনির্দিষ্ট বিরতিতে নিয়মিতভাবে জলবায়ুর অবস্থার উপর বুলেটিন প্রকাশ করিবে।

ধারা-২৪ঃ জলবায়ু পরিবর্তন, জলবায়ু সম্পদ সুরক্ষা ইত্যাদি।

(১) অধিদপ্তর বিভিন্ন ধরনের জলবায়ুগত ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সেবা প্রদান করিবে।

(২) অধিদপ্তর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও ফলাফল সমীক্ষা, সময় সময়, জলবায়ু পূর্বাভাস প্রদান এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরূপণে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সরকার বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা দপ্তরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করিবে।

(৩) অধিদপ্তর গবেষণার আলোকে জলবায়ু সম্পদ সুরক্ষা ও ব্যবহারের প্রস্তাব সরকারের নিকট পেশ করিবে; এবং জলবায়ু সম্পদ সুরক্ষা ও ব্যবহারে সরকার তর্কৃক গৃহীত পরিকল্পনার ফলাফল সমীক্ষা করিবে।

ধারা-২৫ঃ জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষনাগার স্থাপন, পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও অপারেশনাল কার্যক্রম।

অধিদপ্তর ভূমিকম্প, ভূমিকম্পজনিত বন্যা, জলোচ্ছাস বা সুনামি কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পর্যবক্ষণসহ গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পর্যবেক্ষনাগার বা যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে পারবে।

ধারা-২৬ঃ ভূমিকম্প ও সুনামি পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত জারি।

বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলসমূহে সংঘটিত ভূমিকম্প ও সুনামির বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ ও তৎসলগ্ন অঞ্চলসমূহে সংঘটিত ভূমিকম্প ও সুনামির বিজ্ঞপ্তি সমূহ জারি করবেঅধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তিসমূহ অধিদপ্তর করকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং গণমাধ্যমে প্রেরণ করবে।

অধিদপ্তর বঙ্গোপসার, ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরে সংঘটিত বা সংঘটিতব্য সুনামি কার্যক্রম পরিচালনা, পূর্বভাস প্রদান, তথ্য উপাত্তের আদান প্রদান, পর্যবেক্ষণের মানোন্নয়ন এবং মানব সম্পদ উন্নয়নে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) ও আন্তঃসরকার ওশনোগ্রাফিক কমিশন (ICO) এর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নের জন্য সরকারের নিকট প্রেরণ করবে।

ধারা-২৮ঃ আবহাওয়া কর্তৃপক্ষঃ

মহাপরিচালক, আর্ন্তজাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (ICAO) এর এনেক্স ৩ অনুযায়ী বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ হবে এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের Aeronautical Information Publication (AIP) তে মহাপরিচালকের ঠিকানা উদ্ধৃত থাকবে।

5 thoughts on “এক নজরে আবহাওয়া আইন-২০১৮

  1. Does your blog have a contact page? I’m having a tough time locating it but, I’d like
    to send you an email. I’ve got some ideas for your blog you might be interested in hearing.
    Either way, great blog and I look forward to seeing it grow over time.

    1. Thank you for your comment. We welcome your suggestions. Please, contact us through our “contact us” page @https://policyidea.org/contact-us-policy-idea-bangladesh/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *